ড. মঞ্জুরে খোদা ||
“পদ-পদবি মন্ত্রীত্ব হারিয়ে মুরাদ বৃহস্পতিবার রাতে কানাডায় আসার টিকিট কেটেছেন।”
গত কয়েকদিনে মন্ত্রী মুরাদকে নিয়ে- কানাডা প্রবাসী আওয়ামী লীগ ও সরকার সমর্থক অনেক নেতা-কর্মীর ফেসবুকের স্টেটাস দেখেছি। তাদের তীব্র আহাজরি, আফসোস দুঃখ-গ্লানি লক্ষ্য করেছি। তাদের অনুশোচনার কারণে হচ্ছে, এই রকম একজন নোংরা, ইতর স্বভাবের বাজে নেতাকে তারা স্বাগত জানিয়েছেন এবং তাকে নিয়ে কানাডায় সভা করেছেন, ইত্যাদি।
মুরাদের উপর কেন এখানকার নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ তার একটা স্যাম্পল দেখেন। সে এখানে এসে বলেছে যে, “আমার একটা পারিবারিক ঐতিহ্য আছে। আমার একটা ইতিহাস আছে। মনে কইরেন না আমি….. ভাইস্যা আসছি। আমার ভাই সুপ্রীমকোর্টের বিচারপতি। বাংলাদেশের কয়টা মানুষের ভাই সুপ্রীম কোর্টের বিচারপতি হইতে পারে। বাংলাদেশের সবচাইতে মেধাবী পোলাপাইনগুলো ডাক্তার হয়, যারা ডাক্তারি চান্স না পায় তারা ইঞ্জিনিয়ার হয়…. আমি ভাইস্যা আসি নাই।“
এই যে ক্ষুব্ধ ভাইবোন, আপনাদের জ্ঞ্যতার্থে জানাচ্ছি, সেই মহান ব্যক্তি আজকে কানাডার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে রওনা দিয়েছেন। এখন আপনারা আপনাদের সেই ক্ষোভের শোধ নিতে তাকে স্বাগত জানাতে এয়ারপোর্টে যেতে পারেন। দেখি আপনাদের ক্রোধ-ক্ষোভ ও দলের প্রতি ভালবাসা কতটা প্রকৃত!
দুঃখ হয় কানাডায় এই সব পঁচা মাল আশ্রয় পায়! সরকারের কাছে এই সব বাতিল মালের কি কোন তথ্য নেই? তাদের কাছে কি এদের বিষয়ে কোন তথ্য সরবরাহ করা হয় না? এই সব দূর্বলতার কারণে- খুনী, সন্ত্রাসী, ধর্ষক, পাচারকারী, চোর-বাটপাররা এখানে এসে নিরাপদ আশ্রয় নেয়। কমিউনিটির পরিবেশকে বিষময় করে তোলে। প্রতিবাদ হোক এর বিরুদ্ধে।
ড. মঞ্জুরে খোদা, প্রোক্টর ও গবেষক, ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়, কানাডা
Facebook Comments